Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

গরুর মাংসের ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা

 গরুর মাংসের ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা

 

                                                                 উপকারিতা

উচ্চ-মানের প্রোটিন ও পুষ্টি: ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে প্রায় ২২–২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে; এটিতে আয়রন (বিশেষ করে হীম-আয়রন), ভিটামিন B12, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা রক্ত, নার্ভ, মাংসপেশি ও হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়

গ্রাস-ফেড বনাম গ্রেইন-ফেড: ঘাস-খাদ্যপ্রাপ্ত গরুর মাংসে Omega‑3, CLA ও ভিটামিন‑E বেশি থাকা দেখা গেছে, যদিও পার্থক্য সীমিত

হরমোন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ: এর আয়রন ও B12 রক্ত ও নার্ভ সিস্টেম উন্নত করে, জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে              

                                                                         ঝুঁকি ও সতর্কতা 

হার্ট-নালীর সমস্যা: গরুর মাংসে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্ট্রল LDL (“খারাপ”) কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়

ক্যান্সার সম্ভাবনা: উচ্চ তাপে রান্নায় তৈরি হয় হিটারোসাইক্লিক অ্যামিন ও হিম আয়রনের কারণে কোলন বা অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে; প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রে ক্যান্সার ঝুঁকি আরও বেশি

স্মরণ ও বিপাক সমস্যা: বেশি গরুর মাংস হজমে সময় নেয়—ফুসফুস, পেট ভারি, কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে; অতিরিক্ত আয়রন “হিমোক্রোমাটোসিস” আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকর

পরিবেশের প্রভাব: গরু পালনের ফলে মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয় এবং প্রচুর পরিমাণ জমি ও পানি ব্যবহৃত হয়

                                                                খাওয়ার সঠিক পরামর্শ

সপ্তাহে মাত্রা: দৈনিক ৮০–১০০ গ্রাম কিংবা সাপ্তাহিক ৩–৪ বার, প্রতিবার ≈৮৫ গ্রাম গরুর মাংস খাওয়া ভালো; প্রক্রিয়াজাত মাংস (বেকন, সসেজ) এড়িয়ে চলুন

লীন কাট নির্বাচন: ফ্ল্যাঙ্ক, সারলয়ন বা টেন্ডারলোইন ইত্যাদি কম চর্বিযুক্ত অংশ বেছে নিন

নিরাপদ রান্না পদ্ধতি: গ্রিল ও বেকিং ব্যবহার করুন; হরমস বা দারুণভাবে ঝলসানো অংশ না খাওয়াই ভালো

খাবার বৈচিত্র্য: মাছ, মুরগি, ডাল, বাদাম ও সব্জিও নিয়মিত খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন

সহযোগী খাবার: সালাদ, দই, টমেটো, লেবু ইত্যাদির সাথে খেলে পেটের সমস্যা ও আয়রন শোষণ ভাল হবে 

Post a Comment

0 Comments